প্রতিষ্ঠাতার নামঃ বিনোদ বিহারী পাল গ্রচপ/শাখাঃ মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা
ব্যবস্থাপনাঃ বেসরকারী, যাদের জন্যঃবালক ও বালিকা, শিফট সংখ্যাঃ ০১ শিফট
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কি নাঃ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন সত্মরে স্বীকৃতিপ্রাপ্তঃ মাধ্যমিক
১ম স্বীকৃতির তারিখঃ
সত্মর | দিন | মাস | বছর |
মাধ্যমিক | ৩০ | ০৫ | ১৯১৭ |
বৃটিশ বিক্রমপুর পরগনার শ্রীনগর থানাধীন বেলতলী একটি সুপ্রসিদ্ধ গ্রাম। সে আমলে এ গ্রামের পাল বংশ ছিল ধনে মানে মর্যাদা সম্পন্ন। ১৮৭৬ সালে বাবু বিনোদ বিহারী পাল এ গ্রামের খ্যাতনামা পাল বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রামচন্দ্র পাল এবং পিতামহ গঙ্গাপ্রসাদ পাল। তাদের তৎকালীন পূর্ববাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা ছিল। তাদের ব্যবসার উলেস্নখযোগ্য স্থান ছিল বৃহত্তর বরিশালের ঝালকাঠি এবং পশ্চিম বঙ্গের কলিকাতায়। বাল্যকালে বিনোদ বিহারী পাল গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া শুরু করেন। তখন অত্র অঞ্চলে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় তাঁর পিতা তাঁকে ঢাকার কে এল জুবিলী হাই স্কুলে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি লেখাপড়া করেন। লেখাপড়া শেষে পিতার ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। তখন থেকে তিনি এ অঞ্চলে একটি হাই স্কুল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ২৬ বছর বয়সে বাবু বিনোদ বিহারী পাল ভাগ্যকুলের জমিদার পরিবারে বিবাহ করেন। তৎকালীন সময়ে এ অঞ্চলে টোল ও মক্তব শিক্ষার প্রচলন ছিল, ইংরেজী শিক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিল না। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজী ও জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং একটি হাই স্কুল স্থাপনের কথা ভাবেন। কিন্তু স্কুল প্রতিষ্ঠা করার মত টাকা তার হাতে ছিল না। তিনি তাঁর পিতার নিকট স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য টাকা চাইলেন। তাঁর পিতা বললেন এত বড় কাজ তোমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। টাকা দিলেন না বরং তাকে কটুক্তি করলেন। কিছুদিন পর পুনরায় তাঁর বাবার কাছে টাকা চাইলেন। বাবা পূর্বের ন্যায় আচরণ করলেন। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধামত্ম নিলেন। যখন তিনি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছিলেন এমন সময় তার ঠাকুরদাদা গঙ্গাপ্রসাদ পাল বাড়ির সামনে চেয়ারে বসা ছিলেন এবং সামনে দাড়ানো ছিলেন তাঁর ভাগিনা। তাঁর ঠাকুরদাদা জিজ্ঞেস করলেন কোথায় যাও? তিনি বললেন, অত্রাঞ্চলে একটি স্কুল করার জন্য পরপর দুইবার বাবার কাছে টাকা চেয়েছি। বাবা টাকা তো দেয়নি বরং কটুক্তি করেছেন। সুতরাং আমি সিদ্ধামত্ম নিয়েছি এ বাড়িতে আমি আর থাকব না। ঠাকুরদাদা বললেন, তুমি ঘরে যাও, তোমাকে স্কুল করার জন্য টাকা আমি দিব। পার্শ্বে দন্ডায়মান তাঁর ভাগিনাও বললেন মামা ‘‘স্কুলে আমার ঠাকুরদাদার নামও রেখো’’ আমরাও টাকা দিব। তাঁর ভাগিনার ঠাকুরদাদার নাম ছিল জগন্নাথ কুন্ডু। বিনোদ বিহারী পাল তাঁর ঠাকুরদাদার দেয়া টাকা, তাঁর ভাগিনার দেয়া টাকা এবং সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর অলংকার বিক্রির টাকা একত্রিত করে ১৯০১ সালের ২ ফেব্রচয়ারী বেলতলী গঙ্গা প্রসাদ জগন্নাথ (জি জে) হাই স্কুল স্থাপন করেন। গঙ্গাপ্রসাদ তাঁর ঠাকুরদাদার নাম এবং জগন্নাথ তাঁর তালই মহাশয়ের নাম । এভাবে বাবু বিনোদ বিহারী পাল বেলতলী জি জে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ক্রমিক নং | শ্রেণি | মোট |
১ | ষষ্ঠ | ২২৭ |
২ | সপ্তম | ২৬০ |
৩ | অষ্টম | ১৮১ |
৪ | নবম | ১৪৮ |
৫ | দশম | ৭৮ |
সর্বমোট | ৮৯৪ |
ক্রমিক নং | ‘নাম | পদবী |
১ | মোঃ ফজলুল হক জুয়েল | সভাপতি |
২ | মোঃ দেলোয়ার হোসেন | শিক্ষক প্রতিনিধি |
৩ | মোঃ রফিকুল ইসাম | শিক্ষক প্রতিনিধি |
৪ | জাসমিন আক্তার | সংরক্ষক্ষত মহিলা প্রতিনিধি |
৫ | জুলহাস আহম্মেদ পাপ্পু | অভিভাবক সদস্য |
৬ | মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শিকদার | অভিভাবক সদস্য |
৭ | মোঃ নিয়ামত উল ইসলাম রবিন | অভিভাবক সদস্য |
৮ | মো. নাসির হোসেন | অভিভাবক সদস্য |
৯ | তাহমিনা রম্ননু | সংরক্ষক্ষত মহিলা অভিভাবক সদস্য |
১০ | মো. বিলস্নাল হোসেন | দাতা সদস্য |
১১ | মো. আলমগীর শিকদার | কো-অপ্ট সদস্য |
১২ | মোঃ নূরম্নল আমিন মিয়া | সদস্য সচিব |
সন | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | উত্তীর্ন | জি পি এ- ৫ | পাশের হার |
২০০৯ | ৭৪ জন | ৫০ জন | ০২ জন | ৬৭.৫৭% |
২০১০ | ৯২ জন | ৫৯ জন | নাই | ৬৪.১৩% |
২০১১ | ৬৭ জন | ৬৫ জন | ০৭ জন | ৯৭.০১% |
২২১২ | ৭৬ জন | ৭৫ জন | ০১ জন | ৯৮.৬৮% |
২০১৩ | ১০১ জন | ৯৯ জন | ০২ জন | ০১৯১৩৬২৯২৭২ |
প্রধান শিক্ষক
বেলতলী জি জে উচ্চ বিদ্যালয়
শ্রীনগর, মু্ন্সীগঞ্জ।
মোবাইল নম্বরঃ ০১৭১১০৪৯৬৫৫
ক্রমিক নং | শ্রেণি | নাম | ||
রোল -০১ | রোল-০২ | রোল-০৩ | ||
| ষষ্ঠ | ঈশিতা আক্তার | ফারজানা আক্তার | আনিকা |
| সপ্তম | জান্নাতুল ইসরাত | হাওয়া আহম্মেদ অর্পা | মেহেরম্নন্নেসা |
| অষ্টম | হাসিবুল ইসলাম শামত্ম | তাহিয়াতুল ইসলাম সৌরভ | প্রিয়াংকা আইচ |
| নবম | তামান্না জান্নাত শ্রাবনী | শচীন দাস | মেহেদী হাসান |
| দশম | শারমিন আক্তার | শাকিল হোসেন | পাপিয়া সুলতানা পারম্নল |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস